রবিবার, মে ০৮, ২০১১

মাদারবোর্ড

মাদারবোর্ড
এটি সিস্টেম ইউনিটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সবসময় কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিট বক্সের ভেতর দৃঢ় ভাবে আটকে রাখা হয়। কম্পিউটারে ব্যবহৃত যাবতীয় যন্ত্রাংশ এই মাদারবোর্ডের সাথে বিভিন্ন তার বা কেবলের সাহায্যে সংযুক্ত থাকে। যেমন: হার্ডডিস্ক, সিডি ড্রাইভ, ডিভিডি ড্রাইভ, বিভিন্ন উপযোগী কার্ড থেকে শুরু করে কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যক্রমের সহযোগী যন্ত্রাংশ কোন না কোন ভাবে মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত। কম্পিটারের এইসব যন্ত্রাংশকে পূর্ণভাবে কার্যকর করার এই ইলেকট্রনিক সার্কিট বোর্ডটিকে বলা হয় মাদারবোর্ড। এক হিসাবে একে কম্পিউটারের প্রাণকেন্দ্রও বলা যায়।
নিচে একটি মাদারবোর্ডের চিত্র দেয়া হলঃ
http://lyricsdemon.files.wordpress.com/2010/02/motherboard.jpg?w=400
কম্পিইটারের যাবতীয় যন্ত্রাংশ এই অংশে একসাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে। এটি একটি বাক্স আকারে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই বাক্সটি লম্বালম্বি আকারে পাওয়া যায় আবার  কোন কোন ক্ষেত্রে এই বাক্সটি আড়াআড়ি থাকে।
http://lyricsdemon.files.wordpress.com/2010/02/system-unit.gif
এই বাক্সটির অভ্যন্তরে থাকে কম্পিউটারকে পরিচালনা করার যাবতীয় সরঞ্জাম। মাদারবোর্ড, যাবতীয় Ram, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, হার্ড ড্রাইভ, ফ্লপি ড্রাইভ, সিডি ড্রাইভ সহ সাইন্ড সিস্টেমের যান্ত্রিক সরঞ্জামসমূহ একে অপরের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে। এগুলোর কোন একটি নষ্ট বা খারাপ হয়ে গেলে কম্পিউটার অচল হয়ে পড়তে পারে। এই সিস্টেম ইউনিটে একমাত্র মাদারবোর্ড সংযুক্ত বিশেষ কয়েকটি ইলেকট্রনিক সার্কিট ছাড়া আর সব অংশই বিচ্ছিন্ন করা যায়। প্রয়োজনে সেগুলো Replace করাও সম্ভব।
সিস্টেম ইউনিটের অভ্যন্তরস্থ কোনো হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে গেলে প্রথমে সেগুলোর মধ্যে কোনটি নষ্ট হয়েছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি আরেকটি ভাল কম্পিউটার থাকে, তবে সেই কম্পিউটারে উক্ত সিস্টেম ইউনিটের নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশগুলোকে লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
মাদারবোর্ড যুক্ত বিভিন্ন আলাদা আলাদা হার্ডওয়্যারগুলো কোন না কোন ভাবে ত্রুটিপূর্ণ হলে সেগুলো খুলে বদলে ফেলার ব্যবস্থা প্রতিটি কম্পিউটারেই আছে। তবে মূল মাদারবোর্ডে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সার্কিট সমূহের কোনটি নষ্ট হলে সেই ক্ষেত্রে সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন সম্পূর্ণ মাদারবোর্ডটি বদলে ফেলতে হবে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে আশার কথা হলো, এই মাদারবোর্ড বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া নষ্ট হবার কোনো সম্ভবনা নেই।
22 আপনার হার্ডডিস্কটি যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ত্রুটি দেখা দিতে পারে। ছোটখাট ত্রুটিগুলো আপনি যেকোনো Disk First Aid Tool Kit দিয়ে সেরে নিতে পারেন। তবে বড় আকারের কোনো ত্রুটি হলে সেটাকে কোনো ক্রমেই মেরামত করা যায় না। সেই স্থলে একটা নতুন হার্ডডিস্ক লাগাতে হয়।
আপনার হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলে কম্পিউটার চালানোর সময় ডস প্রম্পটে নিচের লেখা দিতে পারেঃ
NO SYSTEM DISK IS FOUND
3 অর্থাৎ, আপনার কম্পিউটার চালানোর জন্যে সিস্টেম ডিস্কটি খুঁজে পাচ্ছে না সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ। অবশ্য, সবসময় হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলেই যে এই ধরনের মেসেজ দিবে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় ডসে কোনো ফাইলে ত্রুটি থাকলে এমনটি ঘটতে পারে। তাছাড়া আপনার Ram স্লটে কোনো সমস্যা থাকলে কিংবা পাওয়ার ইউনিটে বা মাদারবোর্ডে সমস্যা থাকলেও এমনটি ঘটতে পারে। সর্বোপরি আপনার হার্ডডিস্কের কেবল ঠিকমতো লাগানো না থাকলে বা ঠিলা হয়ে থাকলে এইধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
আপনার হার্ডডিস্কে সত্যিকার অর্থে জটিল কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে আপনাকে আরো একটু সতর্ক হতে হবে।
24 কম্পিউটারের স্টার্ট সুইচ চাপ দিয়ে যখন কম্পিউটার চালু হতে থাকবে তখন সিস্টেম ইউনিটের কাছে আপনার কান নিয়ে যান।
হার্ডডিস্কে বড়ো আকারের কোনো সমস্যা থাকলে এইসময় "ঢং ঢং, টিট টিট, পিপ পিপ" এই ধরনের কিছু ব্যড সাউন্ড হবে। এছাড়া ফ্লেক্সিবল ঘূর্ণায়মান ঝির ঝির শব্দ থেমে থেমে হতে পারে। এমনটি ঘটলে বুঝে নিতে হবে আপনার হার্ডডিস্কে বড় আকারের কোনো ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
29 যদি এমনটি না হয় তাহলে বুঝতে হবে কম্পিউটারের সমস্যা অন্য কোনো জায়গায়। এই অবস্থায় আপনার সিস্টেম ইউনিট বাক্সটা খুলে হার্ডডিস্কে কেবলগুলো ঠিকমতো লাগানো আছে কিনা চেক করে নিন। Ram স্লটগুলো ঠিক জায়গা মতো আছে কিনা চেক করে নিন। পাওয়ার কানেকশন ঠিকমতো মাদারবোর্ডে আছে কিনা চেক করে নিন। সবকিছু ঠিক থাকলে তারপর বক্সটির কভার লাগিয়ে সিপিইউ এর সুইচ অন করুন।
1 আশাকরি এবার আপনার কম্পিউটার ঠিকঠাক মতো অন হয়ে যাবে। এটা না হলে বুঝতে হবে আপনার হার্ডডিস্কে বা মাদারবোর্ডে সমস্যা আছে। এইসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয় অন্যকোন অ্যাকটিভ  কম্টিউটারে আপনার হার্ডডিস্ক সেট করে চেক করে নেয়া- এটা সত্যি নষ্ট হয়েছে কিনা।
যদি সত্যি সত্যি তা নষ্ট হয়ে থাকে তবে সেটা পাল্টে ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন