Photoshop

সময়টা শীতের মাঝামাঝি। কাক ডাকা ভোরে চোখে আঙুল ঘষতে ঘষতে রাহাত ছুটছে। যে করেই হোক শান্ত কে ধরতে হবে। নইলে বাকি সারাদিন চষে ফেললেও তার দেখা মিলবে না। কয়েকদিনের চা খরচ টা বাঁচিয়ে একটা সিডি কিনেছে, টিউটোরিয়াল রাইট করতে হবে। সেদিন শান্ত বলছিল নতুন একটা সিডি বের হয়েছে ফটোশপ শেখার । সাত দিনেই নাকি ফটোশপ শিখে ফেলা যাবে। ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। সাতদিনেই.......গত বছর ফটোশপ শিখবে বলে একখানে ভর্তিও হয়েছিল, অথচ কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রতিষ্ঠানটা বন্ধ হয়ে গেল। পুরো টাকাটাই গচ্চা গেল। মায়ের হার গড়ার টাকা। চোখের জল মুছে ফেলে মা যখন টাকাটা বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন রাহাত অবাক হয়ে দ্যাখে সেখানে কি অপরিসীম তৃপ্তি। কিছুদিন আগে অনলাইনে পড়া একটা আর্টিকেলের কথা রাহাতের মনে পড়ে যায়। কেউ একজন লিখেছে আমাদের প্রযুক্তি খাতে নারীদের অবদান কম। রাহাতও মনে মনে ভেবেছে কেন। কিন্তু মায়ের ভরা ভরা চোখদুটোর দিকে চেয়ে সে প্রশ্নের সদুত্তর সে পেয়ে গেছে। আসলে আমাদের দেশে প্রথমে একজন মেয়েকে ভাবা হয় সহধর্মিনী হিসেবে, তার পর মা ।মানুষ হিসেবে তাদের খুব কমই ভাবা হয়। তাদের অনেকের স্বপ্নই পৃথিবীর মুখ দেখতে পায়না। তাই আমাদের মায়েরা নিজেদের স্বপ্নগুলো কে বুনে দেয় তাদের সন্তানের মাঝে। তাদের স্বপ্নগুলো সময়ের সাথে সাথে চাপা পড়ে যায় । আর বুকের গহবরে স্বপ্নগুলোকে পুষে রেখে ভবিষ্যতের এইসব প্রযুক্তিবিদদের গড়ে তুলতেই মায়েরা জীবনের ষোল আনা কাটিয়ে দেয়। রাহাতের মা সেকেলে। ছবি তেমন একটা তোলেন না। আর বয়সের ভারে চেহারার দৈন্যতায় ক্যামেরার সামনে যে ছবি বাস্তবতা পায় তার ভগ্নদশা দেখে মা আর ক্যামেরার সামনে দাড়াঁবার সাহস পান না। একদিন বড় মেয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দ্যাখেন জামাই তার মায়ের সাদাকালো ছবি রঙীন করে এনেছে। জামাই বোঝায়, আম্মা , আজকাল কম্পিউটারে সাদাকালো ছবি রঙীন করা যায়। মা শখ করে জামাইয়ের হাতে নিজের একটা ছবি তুলে দেন আর সেই সাথে গুনে গুনে তুলে দেন ১৫০ টাকা। বহু কাঙ্খিত ছবিটা একসময় বাড়িতে আসে। কিন্তু পরিবর্তন বলতে পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ছাড়া আর কিছু রাহাতের নজরে পড়ে না।সামান্য এইটুকুর জন্য ১৫০ টাকা। রাহাতের বুক ভেঙ্গে যায়। মায়ের কত কষ্টের টাকা। রাহাতের ভীষণ শখ কোন একদিন মায়ের সাদাকালো ছবিটা রঙীন করে মাকে চমকে দেবে। যাইহোক,অবশেষে টিউটোরিয়াল সিডি নামের সেই মহা মূল্যবান বস্তুটি হস্তগত হলো। কিন্তু একি, ভেতরটা যে ফাঁকা। ফটোশপের ফটোগুলো ঠিকই আছে কিন্তু আলোচনা বলতে যা করা হয়েছে তা টাইম পাস করা ছাড়া আর কিছুই না।মেজাজটাই বিগড়ে গেল। এমন করে ঠকাবার কোন মানে হয়? ............................... এই হচ্ছে আমাদের বর্তমান গ্রাফিক্স ট্রেনিং চলচিত্র। বাজারে ইদানীং বেশ কিছু টিউটোরিয়ালের সিডি এসেছে যেগুলো এত বেশি প্রফেশনাল যে অনেক ব্যাপারই বোঝা যায় না। আমি নিজেও বড়সড় একটা স্যাঁকা খেয়েছি। তাই বিচ্ছিন্ন ভাবে টিউটোরিয়াল না লিখে আমার মনে হয় প্রথম থেকে শুরু করাই ভাল। এতে করে বিগিনার পর্যায়ে যারা আছেন তারা সহজেই শিখে ফেলতে পারবেন। তাই আমি বেসিক টুলগুলো নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লেখার একটা চেষ্টা করছি। ভূমিকার জন্য আবারো সবার ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
ছবি

ফটোশপে যে টুলগুলো মূলত: ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হলো:

১.Marquee tool (M)
২.Move tool (V)
৩.Lasso tool (L)
৪.Magic wand tool (W)
৫.Crop tool (C)
৬.Slice tool (K)
৭.Healing brush (J)
৮.Brush (B)
৯.Clone stamp (S)
১০.Air brush (Y)
১১.Gradient tool (G)
১২. Eraser tool (E)
১৩. Path selection (A)
১৪.Pen tool (P)
১৫. Text tool (T)
১৬. Eyedropper (I)

আমরা ধারাবাহিক ভাবে এই Tool গুলোর ব্যবহার শিখবো।

প্রথমে আমরা শিখবো Marquee tool (M)। Marquee tool আসলে বিভিন্ন ধরনের সিলেকশন বা শেপ তৈরীর জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন: স্কয়ার, রাউন্ডেড ইত্যাদী। এটিকে সংক্ষেপে M দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। প্রতিটি টুলস্ এর শর্টকার্ট কমান্ড জানা থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। তারচেয়েও বড় কথা এটা আপনার মূল্যবান সময়কে বাঁচাতে সাহায্য করবে। প্রফেশনাল হতে হলে শর্টকার্ট কমান্ড জানা খুবই দরকারী।

ছবি

স্কয়ার শেপ তৈরীর জন্য Rectangular Marquee tool এবং গোলাকার/ বৃত্তাকার শেপ তৈরীর জন্য Elliptical Marquee Tool ব্যবহার করা হয়।

কিভাবে সিলেকশন করা হয়?

ছবি

পিঁপড়ের সারির মত সাদা-কালো ড্যাশ চিন্হগুলো দ্বারা সিলেক্ট করা বোঝা যায়। আমরা যদি ফটোশপের মেন্যু বারে লক্ষ্য করি তাহলে দেখবো এখানে বেশ কিছু অপশন আছে। আমরা এগুলো দ্বারা সিলেকশনে এ্যাড অথবা বাদ দিতে পারি। লক্ষ্য করুন :
ছবি

এখানে প্রথমটি অর্থ্যাৎ Create a New Selection নতুন সিলেকশনের জন্য।
ছবি

দ্বিতীয়টি Add to a Selection সিলেকশনে নতুন কিছু যোগ করার জন্য।

ছবি

তৃতীয়টি Subtract from Selection সিলেকশন থেকে কোন অংশ বাদ দেবার জন্য।

ছবি
এবং চর্তুথটি Intersect with Selection সিলেকশনের সাথে সমন্বয় ঘটানোর জন্য।

ছবি

এর পর আছে Feather option। Feather ব্যাকগ্রাউন্ডের Pixel এর সাথে সিলেকশনের Pixel গুলোর মধ্যে মসৃণ ভাবে সমন্বয় ঘটায়। আর Anti-aliased option টি রাউন্ডেড সিলেকশনের পিক্সেল গুলোকে মসৃণ করে।


ছবি

ছবি

আমরা যদি পারফেক্ট বৃত্ত তৈরী করতে চাই তাহলে আমাদের Shift key চেপে Elliptical Marquee Tool সিলেক্ট করে ড্রাগ করতে হবে। এছাড়াও স্কয়ার শেপ তৈরীর ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অর্থ্যাৎ Rectangular Marquee Tool সিলেক্ট করে Shift key চেপে ড্রাগ করতে হবে।


ছবি

ছবি



আজকের টিউটোরিয়াল:
প্রথমে একটি ডকুমেন্ট ৪০০x৩১৯ তৈরী করুন। এবার Ractangular Marquee tool সিলেক্ট করে Shift চেপে ধরে একটি স্কয়ার আকুঁন।

ছবি

এবার নতুন একটি লেয়ার নিন এবং Radial Gradient Tool সিলেক্ট করে ড্রাগ করুন।

ছবি
ফলে ইমেজ টি দেখতে এমন হবে।
ছবি
এবার লেয়ারটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Ctrl+ Click করে ইমেজটি সিলেক্ট করুন। এবার Edit-Stroke থেকে ১/২ পিক্সেল Stroke দিন।
ছবি
এবার ইমেজটি সিলেক্ট থাকা অবস্থায় নতুন আরেকটি লেয়ার নিন। এবং Select-Modify-Contact-6 Pixel কমান্ড দিন। এবার ফোরগ্রাউন্ড কালার সাদা সিলেক্ট করুন ।
ছবি
নতুন লেয়ারটিতে Linear Gradient (White transparent ) টুল সিলেক্ট করে ড্রাগ করুন। ফলে ইমেজটি দেখতে এমন হবে।
ছবি

এখন পেন টুল অথবা লেসো টুল সিলেক্ট করে ইমেজটির খানিকটা অংশ সিলেক্ট করুন। আরেকটি নতুন লেয়ার নিন। এবং আগের মত Linear Gradient (White transparent ) টুল সিলেক্ট করে ড্রাগ করুন।

ছবি

লেয়ার প্যালেট থেকে ব্লেন্ডিং অপশন Normal থেকে Soft Light করে দিন।
ছবি

ফলে ইমেজটি এমন হবে।

ছবি

এবার ইমেজটিতে কিছু টেক্সট যোগ করুন। এবং টেক্সট লেয়ারটিতে ডবল ক্লিক করে Drop Shadow দিন। আপনি চাইলে টেমপ্লেট থেকে কিছু সিমবলও যোগ করতে পারেন।

ছবি
ঠিক একই স্টেপ অনুসরণ করে শাইনি বাটন তৈরী করা যায়।

আজকের টিপস্ :

-পারফেক্ট স্কয়ার বা সার্কেল এর জন্য ফিক্সড এ্যাসপেক্ট রেশিও (fixed-ratio) ১:১।
-Crtl+D চাপলে ডিসিলেক্ট হবে, Ctrl+A চাপলে সর্ম্পূণ ডকুমেন্ট সিলেক্ট হবে এবং লেয়ারের উপর Ctrl+ Click করলে ইমেজ সিলেক্ট হবে।
-Crtl+Backspace চেপে কালার Fill করা যায়।
- কি-বোর্ডে D চাপলে ফোরগ্রাউন্ড কালার কালো এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার সাদা হবে। আর X চাপলে ফোরগ্রাউন্ড কালার সাদা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার কালো হবে।


আজ আমি প্যাটার্ন নিয়ে আলোচনা করব।প্যাটার্ন কি ,কিভাবে তৈরি করা যায় এবং কি কাজে লাগে ইত্যাদি।

সহজ কথায় প্যাটার্ন হচ্ছে কিছু নকশা। যেমন

ফটোশপে কোন ডকুমেন্ট খোলা থাকা অবস্থায় নতুন একটি লেয়ার তৈরি করুন।এজন্য উপরের মেনু থেকে
layer ->new->layer… কমান্ড দিন ।একটি ডায়ালগ বক্স আসবে,ok করুন।

এখন নতুন তৈরি হওয়া এই লেয়ারকে যেকোন কালার দিয়ে ফিল করুন(alt+delete প্রেস করুন,ফলে আপনার ডকুমেন্ট ফরগ্রাউন্ড কালার দ্বারা ফিল হবে।)

লেয়ার প্যালেটে এই লেয়ারের থাম্বনেইলের উপর রাইট বাটন ক্লিক করে প্রাপ্ত মেনুতে blending option সিলেক্ট করুন।

ফলে একটি layer style বক্স আসবে।এখান থেকে নিচে এরো চিহ্নিত অংশে ক্লিক করুন।ফলে নিচের মত কিছু স্যাম্পল দেখবেন।এগুলোই একেকটি প্যাটার্ন ।যেকোন একটি স্যাম্পল সিলেক্ট করে ok করুন ।আমি প্রথমটি সিলেক্ট করলাম।

ডকুমেন্টটি নিচের মত হল।

এইযে একটি নকশা তৈরি হল।এটি একটি প্যাটার্ন।ফটোশপে তো এরকম কয়েকটি স্যাম্পল আছে মাত্র।এর বাইরে কি আর কোন প্যাটার্ন তৈরি করা যাবে না?যাবে,আর আজকের এই টিউটরিয়ালে আমি এটাই আলোচনা করব।নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

একটি বক্স আসবে।নিচের মত মান সেট করুন।

ফলে নিচের মত ডকুমেন্ট আসবে।এত ছোট ডকুমেন্টে কাজ করতে যাতে সমস্যা না হয় তাই z প্রেস করুন,জুম টুল সিলেক্ট হবে।এটা দিয়ে ডকুমেন্টের উপর ক্লিক করতে থাকুন।

ফলে নিচের মত হবে অর্থাত ডকুমেন্টটি নিচের মত বড় হবে।

layer->new->layer কমান্ড দিন।একটি ডায়লগ বক্স আসবে । ok করুন । ফলে নিচের মত আরেকটি লেয়ার দেখতে পাবেন লেয়ার প্যালেটে।

B প্রেস করে ব্রাশ সিলেক্ট করুন।নিচের মত ব্রাশের মান সেট করুন।

এখন ব্রাশ দিয়ে ডকুমেন্টটিতে নিচের মত আকুন।

এখন……

ফলে একটি ডায়লগ বক্স আসবে।এখানে আপনি যে প্যাটার্ন তৈরি করতে যাচ্ছেন তার নাম দিতে হবে।নাম দিয়ে ok করুন।

ব্যস।প্যাটার্ন তৈরি হয়ে গেল।এবার আসুন, এই প্যাটার্নের ছোট্ট একটি ব্যবহার দেখি।নিচের ধাপ অনুসরণ করুন।



নিচের মত open বক্স আসবে।এর মাধ্যমে আপনার পিসির যে কোনো একটি ছবি সিলেক্ট করে অপেন করুন
আমি নিচের ছবি open করলাম

এরপর……………

নিচের মত একটি বক্স আসবে।তীর চিহ্ন দ্বারা প্রদর্শিত স্থানে ক্লিক করুন।

ফলে প্যাটার্ন স্যাম্পল দেখতে পাবেন।লক্ষ্য করুন,আমাদের তৈরি করা প্যাটার্নও দেখা যেচ্ছে।এই প্যাটার্নটি সিলেক্ট করুন।

এখন নিচের মত mode এর ভ্যালু চেঞ্জ করুন।normal থেকে linear burn.

এরপর ok প্রেস করুন।

এখন দেখুন জাদু।

আমরা বিভিন্ন কারনেই লোগো , ব্যানার ইত্যাদি তৈরি করে থাকি । এ গুলো সফটয়ার সারা যদি করা যেতে তাহলে ভালই হত তাই না। আজ আমি আপনাদের এমন ২০ টি ওয়েব সাইট এর ঠিকানা দিবো , যাদিয়ে আপনারা মজা মজা লোগো , ব্যানার তৈরি করতে পারবেন। নিন্মে ২০ টি ওয়েব সাইট এর লিস্ট দেয়া হল।

1.
Cooltext
2.
123-banner
3.
Flashvortex
4.
Logomake
5.
Logoease
6.
Logoyes
7.
Flamingtext
8.
Freeflashlogos
9.
Simwebsol
10.
Thefreelogomakers
11.
Instalogo
12.
Logodesignengine
13.
Bannersketch
14.
Bannerfans
15.
Bannerbreak
16.
3dtextmaker
17.
Abcbanners
18.
Animationonline
19.
Quickbanner
20.
bannersnack

আমার দেয়া এই সাইট গুলো দিয়ে কার একটু ও উপকার হলে আমার post টি সার্থক হবে । সবাই ভালো থাকবেন

য়েবসাইটের জন্য কালার কম্বিনেশন নির্বাচন করাঃ

অন্যসব বিষয়ের মত এটিও খুব প্রয়োজনীয়।আপনার ওয়েবসাইটটি কোন রঙের হবে তা সময় নিয়ে ভাবুন। সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি রঙের কম্বিনেশন থাকা ভালো । এর থেকে বেশী রঙ ইউজ করা উচিত হবে না। রং নির্বাচন আপনার উপর নির্ভর করে,তবে নিচের কম্বিনেশন গুলো ভালো হতে পারে ।

১) লাল,হলুদ,সাদা।

২)নীল এবং সাদা।

৩) লাল,ধূসর ও সাদা।

৪) নীল,কমলা ও সাদা

৫) হলূদ,ধূসর ও সাদা

যদি আপনি কোন ধরণের রঙ নির্বাচন করবেন এ নিয়ে সংশয়ে থাকেন তবে বিভিন্ন সাইটে গিয়ে কম্বিনেশনগুলো দেখে নিতে পারেন।

সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং বোধগম্য নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করুনঃ

এটি একটি নেভিগেশন বার।

ভিজিটররা যা খুজে পেতে চায় তা তারা যেনো খুব সহজেই খুজে পায়,এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।এজন্য নেভিগেশন বার হওয়া উচিত সহজবোধ্য। সাধারণত যেকোনো ওয়েবসাইটে বামদিকে অথবা উপরে নেভিগেশন বার থাকে,তাই এ ধরনের নেভিগেশন বার ইউজ করতেই ভিজিটররা অভ্যস্ত। তাই নেভিগেশন সিস্টেম বামে বা উপরে রাখাটাই ভালো। তবে আপনার পেজটি যদি অনেক বড় হয় তাহলে ভিজিটরদের যেনো স্ক্রল করে উপরে উঠে নেভিগেশন বার ইউজ করতে না হয় তাই আপনি এটিকে এক্ষেত্রে পেজের নিচেও সেট করতে পারেন।


অতিরিক্ত স্পেশাল ইফেক্ট বা এনিমেশনবিশিষ্ট গ্রফিক্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকুনঃ

আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে আরো সুন্দর করার জন্য একটি বা দুইটি স্পেশাল ইফেক্ট বিশিষ্ট গ্রাফিক্স ব্যবহার করতে পারেন,তবে বেশী মাত্রায় এনিমেশন বা স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কারন এগুলো ভিজিটরদেরকে মূল কন্টেন্ট থেকে মনোযোগকে বিচ্ছিন্ন করে,তাছাড়া এগুলো ওয়েবসাইটকে ভারী করে যার ফলে সাইট ডাউনলোডে বেশী সময় লাগে এবং ভিজিটররা পুরো পেজ এমনকি শুধু লোগো ডাউনলোড হওয়ার আগেই আপনার সাইট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে কিছু কথাঃ

আপনার সাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ভিজিটররা যেনো সহজেই লেখা পড়তে পারে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।এজন্য গাঢ় নীল ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো লেখা বা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে হলুদ লেখা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। তাছাড়া আপনার পেজে যেসকল লিংক রয়েছে সেগুলোও যাতে সহজে সবসময় চোখে পড়ে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এজন্য ব্যাকগ্রাউন্ড যদি গাঢ় রঙের হয় তবে লিঙ্কের রঙ হালকা রাখা উচিত। সাধারণত একটি লিঙ্ক ভিজিট করার পূর্বে নীল এবং ভিজিটের পরে বেগুনী রঙ হয়ে থাকে।

লিঙ্ক নিয়ে দুটি কথাঃ

আপনার পেজে যদি অন্য ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেয়া থাকে তবে তা অন্য উইন্ডোতে বা অন্য ট্যাবে খোলার ব্যবস্থা করুন।এতে ভিজিটররা আপনার দেয়া লিঙ্ক ভিজিট করার পরে সহজেই আপনার সাইটে ফিরে আসতে পারবে।ছবি দেখলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে।

উপরে যে লিঙ্ক দেখা যাচ্ছে তাতে ক্লিক করলে

লিঙ্কটি অন্য ট্যাবে ওপেন হলো।

সাইট ম্যাপ বা সার্চ অপশনঃ

আপনার সাইটে যদি ১২-১৫ পেজের বেশী পেজ থাকে তাহলে তাতে সাইট ম্যাপ বা সার্চ অপশন রাখতে পারেন। এর ফলে ভিজিটররা সহজেই সার্চ করে তাদের কাঙ্খিত বিষয়টি আপনার সাইটে খুজতে পারবে।

এটি টেকনোলজী টুডে এর সার্চ অপশন

কন্টেন্ট বা সারগর্ভঃ

এটি আপনার সাইটের প্রাণ। সুতরাং এটির ক্ষেত্রে বেশী সময় নিয়ে কাজ করুন।

একটি সফল ওয়েবসাইট তৈরির জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।

১)হোমপেজ বা ভূমিকাতেই ফ্ল্যাশ ইন্ট্রোডাকশান বা এনিমেটেড মেইলবক্স ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

২) সয়ংক্রিয় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (অর্থাত এমন ব্যবস্থা যার ফলে পেজ খোলার সাথে সাথে নিজ থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে মিউজক চলা শুরু করে) এড করবেন না।ভিজিটররা যদি চায় তবেই যেনো তা তারা প্লে করতে পারে।

৩) যদি আপনার সাইটটি প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে আপডেট না হয় তাহলে এতে সময় তারিখ প্রদর্শন ব্যবস্থা না রাখাই ভালো।

আজ এ পর্যন্তই, ভালো থাকবেন সবাই,কেমন লাগলো জানাবেন,ধন্যবাদ।
]আমরা ফটোশপে কাজ করতে গিয়ে অনেক অনেক রকম ব্রাশ ও প্যাটার্ণ দেখতে পাই যা আগে থেকেই ডিফাইন করা থাকে । যেমন নিচের চিত্রে দেখুন

এই ব্রাশকে নিচের মত ব্যবহার করা যায়।

তবে এগুলো ছাড়াও আমরা নিজেদের ইচ্ছেমত ব্রাশ তৈরি করতে পারি। কিভাবে? বন্ধুরা,আজ আমি তাই আলোচনা করতে যাচ্ছি।

কোনো ছবির যে অংশকে আমরা ব্রাশ হিসেবে পেতে চাই তাকে সিলেক্ট করি।সিলেক্ট করার জন্য মারকিউ টুল,লেসো টুল অথবা ওয়ান্ড টুল ব্যবহার করি(সুবিধা অনুযায়ী)।

যেমন নিচের ছবিতে আমি নীল পেন্সিল্টিকে ব্রাশ হিসেবে ডিফাইন করতে চাই,তাই এটি সিলেক্ট করলাম।

এখন

একটি ডায়লগ বক্স আসবে ।আপনি যে ব্রাশটি বানাবেন তাকে যে নাম দিতে চান,এই বক্সে তা লিখুন এবং ok করুন।

ব্যস,হয়ে গেলো,এখন নতুন ডকুমেন্ট খুলে এই ব্রাশ দিয়ে ইচ্ছে মত আকাআকি করতে পারেন।

নতুন ডকুমেন্ট খুলতে file->new কমান্ড দিন।

ডকুমেন্ট খোলার পরে টুলবক্স থেকে ব্রাশ সিলেক্ট করুন।

এরপর

ফরগ্রাউন্ড কালার হিসেবে বিভিন্ন রঙ সিলেক্ট করে ডকুমেন্টের বিভিন্ন জায়গায় ক্লিক করেই আপনি বিভিন্ন রঙের পেন্সিল আকতে পারবেন নিচের চিত্রের মত।

সবাইকে ধন্যবাদ।পরবর্তী পর্বে প্যাটার্ন কি এবং কিভাবে কাস্টম প্যাটার্ন তৈরি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।